ছাদ বাগানের উপকরণ ও প্রয়োজনীয় গাছ
ছাদ বাগানের উপকরণ ও প্রয়োজনীয় গাছ এটি আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু পাচ্ছেন না। আজকে আমি উক্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আপনি কি ছাদে বাগান করার ভাবছেন কিন্তু কিভাবে করবেন বুঝতে পারছেন না। এবং কীভাবে ছাদ বাগানের পরিচর্যা করবেন সেগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন। এই আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পরেন তাহলে সেগুলো জানতে পারবেন।
এই আর্টিকেলটির নিচে আমরা চেষ্টা করেছি ছাদ বাগানের সহজ উপায় সম্পকে আলোচনা করার।এছাড়াও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি যা আপনার উপকারে আসবে।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে ছাদ বাগান সবার কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন প্রায় সব বাড়ির ছাদেই বাগান রয়েছে। তবে এসব বাগানের বেশির ভাগ পরিকল্পনাহীনভাবে গড়ে উঠেছে। অনেকেই জানেনা ছাদ বাগানের উপকরণ ও প্রয়োজনীয় গাছ কোন গুলো। যদি এসব জানত এবং বাগান গুলো পরিকল্পনা অনুযায়ী করা যায় তাহলে এখান থেকেও বিভিন্ন ধরনের ফলমূল ও শাক-সবজি পাওয়া সম্ভাব যা পরিবার এর চাহিদা পূরণ করবে। ছাদে বিভিন্ন উপায়ে বাগান করা যায় টব, ড্রাম, পট, কনটেইনার এছাড়াও লোহার বা বাঁশ দিয়ে বেড তৈরি করে। প্রতিদিন নিয়মিত পরিচর্যা করলে ভালো মানের সবজি ও ফলমূল পাওয়া যায়।
ছাদ বাগান কী?
'ছাদ বাগান' এর ইংরেজি প্রতি শব্দ রুফ টপ গার্ডেন। পাকা বাড়ির ছাদ অথবা ব্যালকলনীতে যে শাক-সবজি,ফল-মূল চাষ করা হয় তাকেই ছাদ বাগান বলে। অনেকেই আছে ছাদকে মনের মত করে সাজানোর জন্য বিভিন্ন প্রকার ফুলের গাছ লাগিয়ে থাকে। এটাও এক ধরনের ছাদ বাগান।
ছাদে বাগান করলে ছাদের কোন ক্ষতি হয়?
বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। এর আয়তন এর তুলনায় ঘনত্ব অনেক বেশি। এর কারনে বিভিন্ন বন জঙ্গল কেটে বসতবাড়ি করা হচ্ছে। দিন দিন অক্সিজেন এর পরিমান কমে আসছে। ছাদ বাগান করলে পরিবার এর পুষ্টি চাহিদা পুরনের পাশাপাশি এটি অক্সিজেন চাহিদাও পূরণ করতে সক্ষম হবে। অনেকেই মনে করে যে ছাদে বাগান করলে ছাদ এর ক্ষতি হয়।
মানুষের এই ধারনাটি ভুল ধারনা। সঠিক নিয়ম জেনে ও মেনে যদি বাগান করা যায় তাহলে ছাদ এর কোন ক্ষতি হয় না। তোমাদের এসকল নিয়ম মেনে চলতে হবে তানাহলে ছাদ ড্যামেজ হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে।
প্রথমে আমাদের যে বিষয়টি খেয়াল করাতে হবে তা হলো ছাদে যেন কোনভাবেই পানি না জমে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার আবর্জনা পরে থাকলে সেগুলো প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি বাঁশ বা রোড এর তাক করে সেখানে টব রেখে গাছ লাগাতে পারেন। এভাবে দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে এবং পরিষ্কার করাও অনেক সহজ হবে। এবং ছাদে ড্যামেজ পরবে না।
এরপর যা করতে হবে তা হলো টব গুলোকে পযাপ্ত পরিমান জায়গা রাখতে হবে যেন এর ভিতর দিয়ে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে। এখন ছাদ বাগান এর জন্য স্ট্যান্ড পাওয়া যাচ্ছে যা চাইলেই আপনি কিনে ব্যবহার করতে পারেন।
এর পর খেয়াল রাখতে হবে আপনি যে পাত্রটি ব্যবহার করছেন সেটি যেন বেশি ভারি না হয়। এক্ষেত্রে আপনারা প্লাস্টিক এর টব ব্যবহার করতে পারেন। এটার ওজন যেমন কম এতা ভাঙ্গার ঝুকি ও কম। এক্ষেত্রে প্লাস্টিকের টব এ পানি বুঝে-শুনে দিতে হবে কারন এতে পানি শুকাতে অনেক সময় লাগে।সুতরাং আপনি যদি ছাদে বাগান করতে চান তাহলে উপরের বিষয় গুলো অবশ্যয় মাথায় রাখতে হবে। তানাহলে আপনার ছাদটি ড্যাম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আর যদি আপনি এই নিয়ম গুলি আপনি মেনে চলেন তাহলে আপনার ছাদটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে।
ছাদ বাগানের উপকরণ ও প্রয়োজনীয় গাছ
বহিবিশ্বে ছাদে বাগান করার প্রচালন অনেক আগে শুরু হলেও এটা বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়। অধিকাংশ বাড়ির ছাদের দিকে তাকালেই বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখতে পাওয়া যায়। এই বাগান গুলোর বেশিরভাগ হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। পরিকল্পিতভাবে বাগান করলে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি,ফল মূল উৎপাদন করা সম্ভাব। আপনি যদি পরিকল্পিতভাবে ছাদ বাগান করতে চান তাহলে ছাদ বাগানের উপকরণ ও প্রয়োজনীয় গাছ নির্বাচন করতে হবে।
নিয়মিত সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রিয় পাঠক চলুন জেনে নিই ছাদ বাগানের উপকরণ ও প্রয়োজনীয় গাছ কোন গুলো-
ছাদে বাগান করার প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- একটি খালি ছাদ;
- ড্রাম, সিমেন্ট বা মাটির টব, প্লাস্টিক ষ্ট্রে, প্লাস্টিক টব;
- ছাদের সুবিধামতো স্থানে বেড ( ছাদ ও বেডে মাঝে ফাঁকা রাখতে হবে।);
- কোদল, কাঁচি, পানি দেওয়ার জন্য ঝরনা, বালতি, করাত, খুরপি, ছুরি, হাত স্প্রে মেশিন ইত্যাদি;
- মাটিঃবেলে দোঁআশ মাটি বা পাহাড়িয়া লাল মাটি,পচা শুকনা গোবর ও কম্পোষ্ট, বালু ও ইটের খোয়া ইত্যাদি;
- গাছের চারা / বা বীজ ইত্যাদি।
- ছাদ বাগান তৈরির জন্য উপযোগী গাছঃ
- ছাদে বাগান করতে হলে প্রথমেই দেখতে হবে গাছ যেন বেশি বড় না হয়। হাইব্রিড জাতীয় গাছ,শাক-সবজির গাছ লাগাতে হবে। চাষ উপযোগী কিছু গাছের নাম নিচে দেওয়া হলো-
ফল জাতীয়ঃ
- আমঃ আমরুপালি, বারি-৪, সিন্দুরী আম ইত্যাদি।
- ড্রাগনফল
- পেঁপে
- আতা
- আঙ্গুর
- বাতাবিলেবু
- আনারস
- কমলা
- হাইব্রিড পেয়েরা
- লেবু
- ডালিম
- মাল্টা
- লালশাক
- পালংশাক
- মুলা
- পুইশাক
- বেগুণ
- টমেটো
- মরিচ
- শসা
- শিম
- কুমড়া
- ঢেড়স
- কলমুশাক
- ক্যাপসিকাম
- পটল
- তোরাই(ধন্দুল)
- করলা
- লাউ ইত্যাদি।
মসলা জাতীয়ঃ
- মরিচ
- ধনেপাতা
- পুদিনা
- পেঁয়াজ
- রসুন
- আদা
- গোলমরিচ ইত্যাদি।
ঔষধিগুণ গাছঃ
- অ্যালোভেরা,
- তুলসী,
- থানকুনিচ,
- স্টিভিয়া,
- গাইনোরা ইত্যাদি।
ফুল জাতীয় গাছঃ
- গোলাপ,
- রজনীগন্ধা,
- বেলি,
- টগড়,
- জুঁই,
- বাগান
- বিলাস ও বিভিন্ন মৌসুমি ফুল।
ছাদ বাগানের পরিচর্যা
ছাদে বাগান করে আমাদের সকলের একটা শখ। আমরা জানি পরিচর্যা ছাড়া কোণ কিছুই বেশিদিন ভালো থাকেনা। তেমনি বাগানেরও পরিচর্যা করতে হয়। ছাদ বাগান সবসময় পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে হবে। রোগাক্রান্ত, বয়স্ক ডালপাতা সাবধানে কাটতে হবে যেন এর ডোগ যেন না কাটে। এতে গাছপালা রোগমুক্ত থাকবে এবং এর গাছের বৃদ্ধি ও ফলন ভালো হবে।
টব বা ড্রামের মাটি পরিবতন বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্ষাকাল শেষে এই কাজটি করলে বেশি ভালো। উন্নত জাতের গাছ লাগালে গাছে কাঠি বা খুঁটি দিয়ে গাছ সোজা রাখতে হবে। এতে গাছের হেলে পড়া ও দুর্বল রোধ হবে। ১৫-২০ দিন পর পর গাছের আসে পাশের আগাছা গুলো নিড়ানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এর ফলে ভিতরে বায়ু চলাচলে সুবিধা হবে।
যে জাতের গাছ গুলো বেশি রোদ এ রাখলে ভালো সেগুলো রোদ এ রাখা যেমন (কাগজি লেবু, ড্রাগন ফল) এবং যে গাছ গুলো তুলনামূলক তাপমাত্রা কম সয্য করতে পারে সেগুলোকে কম ছায়ায় রাখতে হবে যেমন-(এলাচি লেবু, জামরুল)। এভাবে গাছ লাগালে সফল হওয়া যাবে।
স্যার প্রয়োগঃ ছাদ বাগানে সাধারণত বছরে ২ বার স্যার প্রয়োগ করতে হবে। বর্ষার আগে একবার ও বর্ষার পরে সার দিতে হয়। এছাড়াও ভাত এর চাল, তরকারি, মাছ, মাংস, ধোয়া পানি, গাছের গোয়ায় দিলে গাছের সার এর অভাব কিছুটা পুরন হয়। এছাড়াও বছরে একবার হাড়ের গুড়ো,মিশ্র সার এবং অখাদ্য (দস্তা, বোরন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ) গাছের গোরায় দেওয়া ভালো।
মাছের কাঁটা, হাড়ের টুকরা, ডিমের খোসা, তরকারির অব্যবহারিত অংশ, পাতা, একটা ড্রামে দীর্ঘদিন যাবত রেখে পঁচিয়ে নিয়ে গাছের গোড়ায় দেওয়া ভালো। এছাড়াও কেঁচো সার, কুইক কম্পোস্ট, ও বাজারে প্রাপ্ত অন্যান্য জৈব সার ছাদ বাগানে ব্যবহার করা খুবই উপকারী।
পোকা ও মাকড় দমনঃ বাগানে জন্মানো আগাছা ও অন্যান্য পোষক উদ্ভিদ তুলে বাগান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সাধারণত ছাদ বাগানে প্রথম অবস্থায় সীমিত সংখ্যক পোকা বা ডিমের গুচ্ছ দেখাতে যায়। তাই নিয়মিত ছাদ বাগান পরীক্ষা করতে হবে এবং সেখানে যদি পোকা বা দিম পাওয়া যায় তাহলে দেখামাত্রই পোকা বা পোকার ডিমগুলো সংগ্রহ করে মেরে ফেলে দিতে হবে।
মূলত পোকা পাতার নিচের দিকে অবস্থান করে। অনেক সময় পোকা বয়স্ক পাতায় অবস্থান করে।এজন্য পাতা হলুদ হলে কচি পাতা রেখে বাকি গুলো ফেলে দিতে হবে। জৈব পদ্ধতি অবলম্বনে গাছকে পোকার হাত থেকে নিরাপদ রাখা যায়। যেমন-অতি ঝাল ২-৩ গ্রাম মরিচের গুড়া এক লিটার জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন ছেঁকে নিয়ে তাতে ২ গ্রাম ডিটারজেন্ট পাউডার ও এক চা চামচ পিয়াজের রস একত্রে মিশিয়ে ৮-১০ দিন পর পর স্প্রে করলে পোকা দমন হয়ে যায়।
মাথায় রাখতে হবে পোকামাকড় গাছের পাতার নিচে অবস্থান করে তাই ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। অতি সকালে বা সন্ধায় স্প্রে করলে ভালো হয়। উপরে আলোচনায় ছাদ বাগানের পরিচর্যা তুলে ধরেছি। উপরক্ত নিয়ম মেনে যদি আপনি আপনার ছাদ বাগানের পরিচর্যা করেন তাহলে আপনি ছাদ বাগানে সফলতা পাবেন।
ছাদ বাগানের উপকারিতা
বাগান শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আমরা সবাই জীবনে একবার হলেও গাছ লাগিয়েছি। যারা গ্রামে বসবাস করে তাদের বাড়ির আসে পাসে অনেক ফাঁকা জায়গা আছে তারা চাইলেই সেখানে বাগান করতে পারে কিন্তু যারা শহরে থেকে তারা বাগান করার মত ফাঁকা জায়গা পাইনা বললেই চলে। কিন্তু কথায় আছে না ইচ্ছে থাকলে উপাই হয় তাই চাইলেই সহজেই বাসা বাড়ির ছাদে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়ে বাগান তৈরি করতে পারেন।
বাগান আমাদের জন্য অনেক উপকারি। আজ আমি আপনাদের সাথে ছাদে বাগান করার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো।
- অক্সিজেন বৃদ্ধিঃ ইট কনক্রিটের শহরে পরিবেশে দূষনমুক্ত অক্সিজেন খুজে পাওয়া দিন দিন খুব কঠিন হয়ে গেছে। লিল্প ও কলকারখানার ধোঁয়ার পাশা-পাসি যানবহনের কালো ধোঁয়া আমাদের পরিবেশকে যেভাবে দূষিত করছে ঠিক তেমনি পরিবেশে কার্বণ ডাই অক্সাইড এর মাত্রা বৃদ্ধি করছে। এমতাবস্থায়, ছাদ বাগান পরিবেশে অক্সিজেন বৃদ্ধি করা যেতে পারে। যা পরিবেশে অক্সিজেন বৃদ্ধির অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে।
- মানসিক প্রশান্তিঃ ইট কনক্রিটের শহরে এই শহরে মনোরম পরিবেশ খুজে পাওয়া খুবই কঠিন। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে এবং দিন শেষে সারাদিন এর কর্মব্যস্ততা ও ক্লান্তি আমাদের মেজাজকে খিটখিটে করে তুলে। যার ফলে পরিবারে ঝগড়া বিবাদ আর আশান্তি লেগেই থাকে। কিন্তু সহজেই এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে ছাদ বাগান। সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে যখন ছাদ বাগানে গিয়ে কিছু সময় কাটাবেন পরিবারের ছোট বড় সকলের জন্য তা মানসিক প্রশান্তি বয়ে আনবে। এর সাথে আপনার মেজাজও হবে ফুরফুরে।
- বিশুদ্ধ শাকসবজি এবং ফলমূলঃ বর্তমানে বাজারে ফ্রেস,ভেজাল মুক্ত শা-সব্জি পাওয়া খুবই কঠিন,যা আছে তার সবই রাসায়নিক সার আর ফরমালিন যুক্ত ফলমূল এবং শাকসবজি। যার ফলে বাজারে পাওয়া এসব ফরমালিন যুক্ত শাকসবজি এবং ফলমূল খেয়ে আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ছাদ বাগান হতে পারে এর অন্যতম একটি ভালো সমাধান। একটি ছাদ বাগান আপনার পরিবারের প্রায় ৮০% শাকসবজি এবং ফলমূলের চাহিদা পূরনে সক্ষম। ফলে এখান থেকে আপনি পাবেন ফ্রেশ ও রোগমুক্ত ফলমূল এবং শাকসবজি।
- তাপমাত্রা হ্রাসঃ সারাদিন সূর্যের তাপ সরাসরি ছাদে পরে ফলে রাতের বেলা বাড়িতে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু ছাদে বাগান থাকলে সূর্যের তাপ সরাসরি ছাদে পরবেনা। যার ফলে রাতের বেলাও আপনার ছাদের তাপমাত্রা সাভাবিক থাকবে।
- অর্থনৈতিক চাপ হ্রাসঃ বর্তমানে বাজারে শাকসবজি এবং ফলমূল এর দাম অনেক বেশি এগুলো ক্রয় বাবদ একটি পরিবারের অনেক টাকা ব্যয় হয়। ছাদ বাগান থাকলে সেখান থেকে প্রাপ্ত ফলমূল এবং শাকসবজি আমদের এই ব্যয় হ্রাস করে দেয়।
- শারিরীক সুস্থতাঃ ছাদ বাগান যেমন মানসিক প্রশান্তি বয়ে আনে ঠিক তেমনি পরিচর্যায় করালে পরিশ্রম হয় যা একটি অন্যতম শারীরিক ব্যায়াম। ফলে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে আপনি থাকবেন একদম ফিট।
লেখকের শেষ কথা
বাড়ির ছাদে ফলের বাগান করার পদ্ধতি ও ছাদ বাগানের পরিচর্যা এই আলোচ্য সূচীতে আমরা চেষ্টা করেছি বাড়ির ছাদে ফলের বাগান করার পদ্ধতি ও ছাদ বাগানের পরিচর্যা সম্পর্কে আধুনিক তথ্য গুলো তুলে ধরার। আশা করি, আপনি যদি বাড়ির ছাদে ফলের বাগান করার পরিকল্পনা করেন তাহলে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। আর পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ❤
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url